জন্ম নিবন্ধন আবেদন এখন অনলাইনে করা যায়। জন্ম নিবন্ধন সনদ সকল বাংলাদেশীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা ব্যাক্তির জন্ম পরিচয় বহন করে। সুতরাং সকলেরই জন্ম নিবন্ধন করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের খুবই দ্রুত করা উচিৎ। কারণ, শিশুর জন্মের পর থেকেই প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রমে শিশুর পরিচয় ও বয়সের তথ্য সত্যায়নের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে।
তাছাড়া, সকলের জন্য জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক কাজ। সুতরাং, কিভাবে জন্ম নিবন্ধন করবেন তার বিস্তারিত জানা দরকার। হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন উদয় হচ্ছে যে, কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করবেন, কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, কত টাকা লাগবে, কি কি তথ্য প্রদান করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই, এই নিবন্ধে আমরা নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পর্কে সকল তথ্য আলোচনা করবো। পোষ্টটি ইংরেজীতে পড়ুন: Birth Certificate Application.
Content Map
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- জন্ম নিবন্ধন করার সময়সীমা
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদন ফি
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
- যেভাবে bdris.gov.bd থেকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন
- জন্ম নিবন্ধন Username & Password
- Birth Certificate আবেদন ফী প্রদান
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম PDF ডাউনলোড
- জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন ভুল হলে বাতিল করার নিয়ম
- জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই ও বর্তমান অবস্থা
- উপসংহার
জন্ম নিবন্ধন সনদ
প্রতিটি মানুষেরই একটি জন্ম পরিচয় থাকে যা সরকারী তথ্য ভান্ডারে লিপিবদ্ধ ও সত্যায়িত করাই জন্ম নিবন্ধন। অন্য ভাবে বলতে গেলে, কেউ যখন জন্ম নেয় তখন থেকেই সে এই দেশেরই একজন। কিন্তু, তার কোনো তথ্য সরকার বা স্থানীয় সরকারের খাতায় থাকেনা। ফলে, দেশের বিভিন্ন সরকারী বা বেসরকারী সেবা গ্রহন করার সময় সে যে এই দেশের একজন তার প্রমাণ পত্র প্রদান করা সম্ভব হবেনা।
সুতরাং, তার একটি জন্ম পরিচয় পত্র প্রয়োজন। তাই, দেশের একজন সদস্য হিসেবে সরকারী ডাটাবেজে তার জন্ম তথ্য অন্তর্ভূক্তি বা নিবন্ধন করতে হয়। এই ক্ষেত্রে, জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পরে স্থানীয় প্রশাসন থেকে জন্ম সনদ প্রদান করা হয়।
জন্ম নিবন্ধন করার সময়সীমা
সাধারণত জন্ম নিবন্ধন করার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। যেকোনো সময়েই জন্ম নিবন্ধন করা যায়। তবে জন্ম নিবন্ধন করার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে।
কারন, ০ থেকে ৪৫ দিনের বয়সের শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তেমন কোনো ঝামেলা থাকেনা। কিন্তু বয়সসীমা যত অতিক্রম করতে থাকবে পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধন করতে তত বেশি কাগজপত্র ও সত্যায়নের প্রয়োজন হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
যেকোনো প্রার্থীর জন্ম নিবন্ধন করতে প্রধানত ২ ধরনের তথ্যের জন্য কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। তা হলো- প্রথমত প্রার্থীর জন্ম তারিখ নিশ্চিতকরণের প্রশাণস্বরূপ সত্যায়িত ডকুমেন্ট ও দ্বীতিয়ত তার স্থায়ী নিবাসের তথ্য।
যেকোনো বয়সে জন্ম নিবন্ধন করতে স্থায়ী ঠিকানার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো নির্দিষ্ট। কিন্তু বয়সভেদে শিশুর জন্ম তারিখ সত্যায়নের ডকুমেন্ট ভিন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং, জন্ম নিবন্ধন করতে যেসব কাগজপত্র লাগে তা বয়স ভেদে ভিন্ন হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক “জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮” অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সময় আপনার কি কি কাগজ লাগবে।
সকল জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারীর জন্য বাধ্যতামূলক কাগজপত্র
- বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জন্ম স্থান ও তারিখ সংক্রান্ত সনদ। নিচে বয়স ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সনদগুলোর তালিকা দেখুন।
- আবেদনকারীর পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি যা ডিজিটাল বা অনলাইনকরণ হয়েছে।
- বাড়ির জমির কর পরিশোধের প্রমানপত্র ও বাড়ির হোল্ডিং নম্বর সংক্রান্ত কাগজ।
- অভিভাবকের ব্যবহৃত একটি মোবাইল নম্বরি।
- একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (প্রয়োজন হতে পারে)।
কোনো কারণবসত (বিশেষ করে নদী ভাঙ্গন) আপনার স্থায়ী বসবাসের ঠিকানা বিলুপ্ত হয়েছে? এই ক্ষেত্রে আপনি যদি নতুন বসস্থান তৈরি বা ক্রয় করেন এবং খাজনা প্রদান ও কর পরিশোধের রসিদ বা যেকোনো দলিল করেন তাহলে সেটিই আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
যাদের নিজস্ব স্থায়ী ঠিকানা নাই তারা আবেদন ফরমে স্থায়ী ঠিকানার জায়গায় “অপ্রাপ্য” লিখবেন। এই ক্ষেত্রে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তির থেকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা না থাকার মর্মে প্রত্যয়ন নিতে হবে।
এগুলো ছাড়াও, বিভিন্ন বয়স সময়কালে যেসকল জন্ম সংক্রান্ত প্রমাণসরূপ সনদ ও প্রত্যায়ন পত্র লাগবে তা নিচে দেওয়া হলো।
১ থেকে ৪৫ দিন বয়সের শিশু
আবেদনকারী শিশুর জন্ম যেখানে হয়েছে সেই হাসপাতাল বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া জন্ম সংক্রান্ত সনদটির সত্যায়িত অনুলিপি অথবা ছাড়পত্র। তবে, যদি শিশুর জন্ম কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে না হয়ে থাকে তাহলে বার্থ এটেন্ডেন্ট যিনি ছিলেন তার প্রত্যয়ন অথবা স্থানীয় স্বাস্থকর্মী বা স্বাস্থ প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য কোনো প্রমাণপত্র।
- ই.পি.আই. টিকা কার্ড (যদি থাকে) বা হাসপাতাল ছাড়পত্র
৪৬ দিন থেকে ৫ বছরের শিশু
বাচ্চার বয়স ৪৫ দিনের বেশি হয়ে গেলে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে ইপিআই কার্ড বাধ্যতামূলক লাগবে। তবে ৫ বছর বয়সের নিচে যাদের ইপিআই কার্ড নেই বা হারিয়ে গেছে তাদের ইপিআই কর্মীর প্রত্যয়ন লাগবে।
- ই.পি.আই. টিকা কার্ড বা ইপিআই কর্মীর প্রত্যয়ন (বাধ্যতামূলক)
৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যাক্তি
কোনো আবেদনকারীর বয়স যদি ৫ বছরের বেশি হয়ে থাকে তখন তার সঠিক বয়স নির্ণয় কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া, ৫ বছরের পরেই শিশুরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। আবার আরও একটু বেশি বয়সেও জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে দেখা যায় যে আবেদনকারীরা বিভিন্ন ক্লাসে বা বোর্ড পরীক্ষায়ও উত্তির্ণ হয়ে যায়। তাই, সঠিক বয়স ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সমাপনি/বোর্ড পরীক্ষার সনদের জন্ম তারিখের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে জন্ম নিবন্ধনের জন্য একাধিক প্রত্যয়ন বা সনদের কপির প্রয়োজন হয়।
এই ক্ষেত্রে সাধারণত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি/ক্লাস ৫ বৃত্তি পরীক্ষা), জেএসসি পরীক্ষা, এসএসসি পরীক্ষা বা অনুরূপ পরীক্ষার সার্টিফিকেট (সনদপত্র) দ্বারাে আবেদনকারীর জন্ম তারিখ যাচাই করা হয়।
তাছাড়া, আবেদনকারীর যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকে তাহলে বয়স প্রমাণের জন্য একটি উপযুক্ত ডাক্তারের থেকে প্রত্যয়ন পত্র নিতে হবে।
- পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি পরীক্ষার সনদ
- চিকিৎসক কতৃক প্রত্যয়ন পত্র
আবেদন ফি
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি খুবই সামান্য, প্রযোয্য ক্ষেত্রে ফ্রি। অর্থ্যাৎ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মতো আবেদন ফিও বয়সের ওপর নির্ধারিত। এই ক্ষেত্রে, বয়স ৪৫ দিন পর্যন্ত হলে (দেশে বা বিদেশে) ফ্রিতেই জন্ম নিবন্ধন করা যায়। বাচ্চার বয়স ৪৬তম দিন থেকে আবেদন ফি প্রযোয্য হবে। এই ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন ও বাংলাদেশ মিশন (বিদেশে) থেকে আবেদন করলে আবেদন ফি ভিন্ন ভিন্ন। জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা (আবেদন ফি) লাগে তা নিচে দেওয়া হলো:
বয়স (জন্ম থেকে) | দেশে | বিদেশে |
১ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত | ফ্রি | ফ্রি |
৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত | ২৫ টাকা | ১ মার্কিন ডলার |
৫ বছরের অধিক | ৫০ টাকা | ১ মার্কিন ডলার |
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
দেশের সকলের একটি জন্ম সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। তাই সবাইকেই জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। সুতরাং, জন্ম নিবন্ধন আবেদনের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যায়। এছাড়াও, আবেদন ফরম ডাউনলোড করে হাতে লিখে সরাসরি পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদেও জমা দেওয়া যায়।
তবে, যেহেতু অনলাইনে https://bdris.gov.bd/ থেকে জন্ম নিবন্ধন আবেদন খুব সহজেই করা যায়, তাই সকলের উচিৎ অনলাইনেই আবেদন করা। কারণ, আপনি যদি হাতে লিখে স্থানিয় অফিসে জমা দেন, উক্ত তথ্যগুলো ব্যবহার করে তারাও অনলাইনেই আবেদন করবে। ফলে অনেক সময় তাদের দ্বারা কোনো বানান বা তথ্য ভুল হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে, আপনি নিজে যদি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করেন তাহলে সকল তথ্য ও নামের বানানগুলো ভালোভাবে যাচাই করতে পারবেন।
অল্প কথায়, জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম হচ্ছে- প্রথমে অনলাইনে সঠিক তথ্য দিয়ে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে হবে। তারপরে, আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্টগুলোর স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। যদি ফি প্রদানের আওতায় পড়েন তাহলে ফি প্রদান করতে হবে। সর্বশেষে, আপনার অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনটির একটি কপি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস গুলো সাথে নিয়ে নিকটস্থ জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টার অফিসে জমা দিতে হবে। যদি সকল তথ্য সঠিক থাকে তাহলে নির্দিষ্ট কয়েকদিন পরে আপনি অরিজিনাল জন্ম নিবন্ধন কপি পেয়ে যাবেন। তারপর আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন।
যেভাবে bdris.gov.bd থেকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন
আমরা ইতমধ্যেই জেনেছি যে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র ফি লাগে। তাই আশা করছি যে আপনি সকল তথ্য ও কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করেছেন ও স্ক্যান করে ছবি আকারে আপনার ডিভাইসে রেখেছেন। কেননা এই আবেদনে সেগুলোর প্রয়োজন হবে। নিচে https://bdris.gov.bd থেকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন পদ্ধতি ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো এবং প্রতিটি ধাপের ছবি অন্তভূক্ত করা হলো:
জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ
জন্ম নিবন্ধন আবেদনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট লিংকটি হলো https://bdris.gov.bd/br/application. তাই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে লিংকটিতে প্রবেশ করুন।
আবেদনের শুরুতেই তিনটি (জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা ও বাংলাদেশ দূতাবাস) অপশন রয়েছে যে আপনি কোন স্থান থেকে আবেদনটি করছেন। মানে, জন্মস্থান যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা না হয় আর আপনি সেই স্থান থেকেই তৎক্ষণাত আবেদন করছেন তাহলে অপশনে “জন্মস্থান” নির্বাচন করে “পরবর্তী” বাটরে ক্টিলক করুন। আর যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা থেকেই নিকটস্থ পৌরসভা বা ইউনিয়ন কাউন্সিলি অফিসে আবেদনটি করেন তাহলে “স্থায়ী ঠিকানা” নির্বাচন করুন।
উদাহরণ: ধরুন আপনার বাচ্চার জন্ম হয়েছে আপনার শশুর বাড়ির স্থানে। কিন্তু আপনার সন্তানের ঠিকানাতো আপনার স্থায়ী ঠিকানাটাই হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার শশুর বাড়ির স্থান থেকে আবেদনটি করেন করেন তাহলে “জন্মস্থান” নির্বাচন করুন।
অন্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করলে সেই বক্সটি নির্বাচন করুন। তাহলে আপনার সামনে বাংলাদেশ দূতাবাস রয়েছে এমন সব দেশ ও অফিসের লিস্ট চলে আসবে সেখান থেকে আপনার নিকটস্থ অফিস নির্বাচন করুন।
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচয়ের তথ্য
এই অংশে যার জন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা হচ্ছে তার তথ্য দিতে হবে। প্রর্থীর নামে দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নামটি দুই ভাগে ভাগ করে প্রথম অংশ ও শেষ অংশ যথাস্থানে বাংলায় ও ইংরেজীতে দিতে হবে। কারো নামের অংশ যদি দুইয়ের অধিক হয়ে থাকে (যেমন, তাপস কুমার দাস) তাহলে প্রথম দুইটি বা তিনটি অংশ (তাপস কুমার) মিলে প্রথম অংশ এবং শেষেরটি (যেটি সচরাচর বংশীয় বা জাত বোঝায়) শেষ অংশ হবে। আবেদন কারী ব্যাক্তির লিঙ্গ (পুরুষ/মহিলা/তৃতীয় লিঙ্গ) এবং সে পিতা-মাতার কততম সন্তান তা নির্বাচন করুন।
জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীর সঠিক জন্ম তারিখ নির্বাচন করুন। এই ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ অনুযায়ী আপনার যা যা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে তা উল্লেখপূর্বক সেগুলো আছে কি না তা জিজ্ঞাসা করা হবে। যদি আপনার সেই সকল ডকুমেন্টস থাকে তাহলে আপনি “আমার কাছে এই ডকুমেন্টগুলি আছে” বাটনে ক্লিক করে কনফার্ম করুন।
যেই স্থানে জন্ম হয়েছে সেই ঠিকানা
যার জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করা হচ্ছে তার জন্মস্থান সম্পর্কিত তথ্য এই অংশে প্রদান করতে হবে। এই ক্ষেত্রে, দেশ, বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা, পৌরসভা/ইউনিয়ন, ওয়ার্ড নির্বাচন করে আপনার ডাকঘর, গ্রাম/পাড়া/মহল্লা, বাংলা বাংলায় ও ইংরেজীতে লিখতে হবে। এই ক্ষেত্রে বাসা ও সড়ক নাম, নম্বর যদি থাকে লিখবেন, না থাকলে প্রয়োজন নেই। তারপর পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হন।
পিতা-মাতার তথ্য
আবেদনকারীর পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, নাম (বাংলাং ও ইংরেজীতে) এবং জাতীয়তা তথ্য দিয়ে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান।
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
এই অংশে আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন করুন এবং যেসকল ঘরে ঠিকানা লিখতে হবে সেগুলোতে বাংলায় এবং ইংরেজীতে লিখুন। এই ক্ষেত্রে, পূর্বের দেওয়া জন্মস্থানের ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে “জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই” বক্সে টিক দিন। ফলে নতুন করে আর স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া লাগবেনা। একই ভাবে যদি স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হয় তাহলেও নির্দিষ্ট বক্সে টিক দিন। সকল তথ্য দেওয়া শেষে পরবর্তী ধাপে চলুন।
আবেদনকারীর প্রত্যয়ন
উক্ত জন্ম নিবন্ধন আবেদনটি যিনি করছেন তিনি আবেদন ফরমটিতে প্রত্যয়ন হিসেবে স্বাক্ষর বা টিপসহি করবেন। যার জন্ম নিবন্ধন করছেন, অর্থাৎ প্রর্থীর সাথে আবেদন যিনি করছেন তার সম্পর্ক কি তা নির্বাচন করুন।
প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর বা বেশি হয় তাহলে আবেদনকারী নিজেই আবেদন করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে “নিজ” অপশনটি নির্বাচন করে দিতে হবে। আর যদি নবজাতক শিশুর জন্ম নিবন্ধন তার পিতা বা মাতা বা অন্য যেকোনো অভিভাবক করে থাকে তাহলে নির্ধারিত সম্পর্কে টিক দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে যদি পিতা বা মাতা নির্বাচন করেন তাহলে নতুন করে কোনো তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, পূর্বেই পিতা-মাতার তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু অন্য কোনো আত্বীয় বা অভিভাবক হলে তাদের তথ্য দেওয়া লাগবে।
আবেদনকারী যদি অভিভাবক না হয়ে থাকে তাহলে “অন্যান্য” অপশন নির্বাচন করে তার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
ডকুমেন্ট সংযুক্তি
জন্ম নিবন্ধন আবেদনটির জন্য যেসব জকুমেন্ট লাগবে সেগুলো আপলোড করতে হবে। এজন্য “সংযোজন” বাটনে ক্লিক করে একটি একটি করে আপনার জন্ম সংক্রান্ত প্রত্যয়ন, সনদ বা টিকা কার্ডটির ছবি ও স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত ডকুমেন্টর ছবি নির্বাচন করুন।
তারপর “File Type” অপশন থেকে কোন ফাইলটি কোন সম্পর্কে তা সিলেক্ট করে ডান পাশের “Start” বাটনে ক্লিক করুন। এখানে একটি জরুরী বিষয় হচ্ছে ছবির ফাইল সাইজ অবশ্যই ১০০ কিলো বাইটের মধ্যে হতে হবে।
তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো আপলোড হয়ে যাবে। তারপরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে এগিয়ে যান।
একনজরে প্রদানকৃত তথ্য যাচাই
এবার একনজরে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনটি পূরণ করা সকল তথ্য দেখতে পাবেন। সকল তথ্য, বানান ও NID বা সনদ নং ভালো ভাবে যাচাই করে নিন। যদি কোনো ভুল তথ্য থাকে তাহলে তা ঠিক করুন। কেননা একবার ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন দাখিল করলে তা সংশোধন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় ও ভোগান্তি পেতে হবে।
মোবাইল নম্বর ও ইমেইল দিয়ে জন্ম নিবন্ধন আবেদন সাবমিট করা
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরনের এই অংশটিতে আপনার ইমেইল ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বরটি অবশ্যই সচল থাকতে হবে। কেননা, আবেদন সাবমিট করার আগে আপনার নম্বরে একটি ওটিপি পাঠাতে হবে এবং তা প্রদান করতে হবে।
সুতরাং, ইমেইলের ঘরে একটি ইমেইল ঠিকানা দিন, ফোন নম্বরের ঘরে আপনার মোবাইল নম্বর দিন এবং “ওটিপি পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে। যেখানে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড সংখ্যা থাকবে সেটি ওটিপির ঘরে লিখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনটি সঠিক ভাবে সাবমিট করা হয়ে যাবে।
আবেদনটি গ্রহণ করা হলে আপনি “Sucess” লেখা একটি নটিফিকেশন পাবেন। পাশাপাশি আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন নম্বর, যেই কার্যালয়ে আপনাকে আবেদন কপিটি জমা দিতে হবে তার ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এবং আপনার আবেদনটি অফিসে গিয়ে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ জানানো হবে। এই পেজটি অবশ্যই স্ক্রিনসট বা প্রিন্ট করে রাখবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রিন্ট করতে না পারলে এই পেজটি (Ctrl + P প্রেশ করে) প্রিন্ট করেও জমা দেওয়া যাবে। কারণ, আবেদনপত্র প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করলে আপনার থেকে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চাইবে যা আপনার কাছে আপাতত নাই। আপনার আবেদন নম্বরটি সংরক্ষণ করে রাখবেন, আবেদনপত্র প্রিন্ট করতে নম্বরটি প্রয়োজন হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রিন্ট
- অনলাইনে আবেদন সাবমিট করার পরে জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রিন্ট করতে https://bdris.gov.bd/application/print এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন।
- তারপরে, আবেদনপত্রের ধরনের যদি নতুন আবেদন হয় তাহলে “জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন” নির্বাচন করুন। অন্যথায়, আপনার আবেদন ধরন অনুযায়ী “তথ্য সংশোধনের”, “প্রতিলিপি” বা “একাধিক জন্ম নিবন্ধন সনদ বাতিল” নির্বাচন করতে হবে।
- তারপরে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে “প্রিন্ট” বাটনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্রটি প্রিন্ট প্রিভিউ আসবে। আপনার প্রিন্টার নির্বাচন করে প্রিন্ট করুন। এছাড়াও, প্রয়োজনে সেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন আবেদনটি PDF ডাউনলোড করতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন Username & Password
আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনি “আবেদনপত্র প্রিন্ট” নামে একটি বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে Username & Password দিয়ে ওটিপি পাঠানোর জন্য বলা হবে। কিন্তু আপনিতো সবে মাত্র জন্ম নিবন্ধন আবেদন করলেন। আপনার কোনো Username বা Password নেই। এই অপশনটি সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা উর্ধতন কর্মকর্তাদের জন্য। তবে যদি কতৃপক্ষ ব্যবহারকারীদেরে (আবেদন দাখিলের পরে কোনো তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধনের) জন্য একাউন্ট তৈরির সুযোগ দিয়ে থাকে তাহলে আপনি নিচে “এইখানে ক্লিক করুন” বাটনে ক্লিক করে একটি ইউজার একাউন্ট তৈরি করুন।
জন্ম নিবন্ধন একাউন্ট তৈরির পেজটি ওপেন হওয়ার পরে আপনি সকল তথ্য পূরণ করুন এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
- এখানে ব্যবহারকারী আইডি হিসেবে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্রটির নম্বর দিতে হবে।
- আবেদন ফরম পূরণের সময় মোবাইল নম্বরে যেই ওটিপি কোডটি পেয়েছিলেন সেই কোডটি ওটিপির ঘরে দিন।
- একটি পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন এবং পরের ঘরে পূনরায় সেই একই পাসওয়ার্ডটি দিন।
- ব্যবহারকারীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর অর্থাৎ আবেদনকারীর প্রত্যয়ন (পিতা বা যিনি আবেদনটি জমা দিবেন) অংশে যিনি প্রত্যয়নপূর্বক স্বাক্ষর করবে তার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিন।
- তারপরে একটি অক্ষর সংবলিত ছবি দেখতে পাবেন, সেখানে যেইভাবে যেসকল অক্ষর থাকবে সেইভাবেই নিচের CAPTCHA ঘরে লিখবেন।
- সবশেষে Submit বাটনে ক্লিক করে একটি User Account তৈরি করুন।
তারপরে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে লগ-ইন করুন এবং জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র প্রিন্ট করুন বা PDF Download করুন। আর যদি অপশন থাকে তাহলে আবেদন ভুল থাকলে তা সংশোধন করুন।
Birth Certificate আবেদন ফী প্রদান
শুধু মাত্র ৪৫ দিনের অধিক বয়সের আবেদনের ক্ষেত্রেই আবেদন ফী প্রযোয্য এবং তাদের ক্ষেত্রেই “ফী প্রদান করুন” বাটনটি থাকবে। যদি আপনার আবেদন সাবমিট করার পরে ফি প্রদানের বাটনটি আসে তাহলে সেটিতে ক্লিক করুন।
আপনার জন্ম নিবন্ধন ফী হিসেবে যত টাকা প্রদান করতে হতে সেই পরিমান টাকার একটি “এ চালান” পেমেন্ট পেজ দেখতে পাবেন। সকল তথ্য ও টাকার পরিমান দেখে “Confirm” বাটনে ক্লিক করলে টাকা পে করার পেজ ওপেন হবে।
এখানে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করার প্রায় সকল গেটওয়েই রয়েছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্যাংকের ইন্টারন্টে ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন যদি আপনার সেই সকল ব্যাংক একাউন্ট থাকে। তাছাড়া, মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ দিয়েও জন্ম নিবন্ধনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে “মোবাইল ব্যাংকিং (MPS)” ঘরে টিক দিলে যেসকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলো দ্বারা টাকা দেওয়া যাবে সেগুলো দেখতে পাবেন। সেগুলো থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করে “Save & Continue” বাটনে ক্লিক করুন।
এই ক্ষেত্রে আমরা “বিকাশ” ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন ফী প্রদান করছি। মোবাইল ব্যাংকিং অপশনগুলো থেকে “বিকাশ” নির্বাচন করলে “Bkash Online Payment System” আসবে। সেখানে একটি “বিকাশ” একাউন্ট নম্বর দিয়ে Confirm করলে মোবাইলে একটি Verification Code SMS যাবে। সেই কোডটি দিয়ে Confirm করুন। তারপর আপনার “বিকাশ” পিন দিয়ে Confirm করুন। তাহলে আপনার একাউন্ট থেকে নির্ধারিত টাকা কেটে নিবে এবং আপনার পেজটি অটোমেটিক রিডাইরেক্ট হয়ে “এ চালান” ডাউনলোড পেজে চলে যাবে।
আপনার পেমেন্ট সফল হলে আপনাকে সেটা জানানো হবে এবং ডাউনলোড করতে দেওয়া হবে। “এই লিংকে চালানের কপি ডাউনলোড করুন।” লেখার ওপর ক্লিক করলেই আপনার চালানটি ওপেন হবে।
এবার আপনি আপনার চালান ফরমটি দেখতে পাবেন। ওপরের বাটনগুলো ক্লিক করে আপনার জন্ম নিবন্ধন ফী জমাদানের চালানটি প্রিন্ট বা ডাউনলোড করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম PDF ডাউনলোড
অনলাইনে আবেদন না করেও জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম PDF ডাউনলোড করা যায়। এই ক্ষেত্রে “জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ PDF” থেকে ”জমিন ফরম-১” অংশটুকু প্রিন্ট করেও তাতে হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে। আবার, শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম PDF টুকুও ডাউনলোড করা যাবে http://forms.mygov.bd/sites/default/files/files/dcb.portal.gov.bd/forms/e08ef94e_7a8e_474d_9c22_a0eea54cafb4/Birth_Form.pdf লিংক থেকে। উক্ত জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরমটি PDF থেকে Image আকারে এখানে দেওয়া হলো। আপনি চাইলে ছবিটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণের সময় একই তথ্যসমূহ দিতে হবে যা অনলাইনে পূরণ করার সময় লাগতো। এই ক্ষেত্রে শুধু ডকুমেন্টস গুলোর অনুলিপি/ফটোকপি সাথে সংযুক্ত করে দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?
অনেকেই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে “পসিবল ডুপ্লিকেট” নামে একটি স্ট্যাটাস মেসেজ দেখতে পারেন। এরকমটা হলে চিন্তা করার কিছু নেই। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু কারনেই এই “পসিবল ডুপ্লিকেট” সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কি জন্য এই ধরনের নোটিফিকেশন আসে তা জেনে নিন এবং সেই ক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনের সাথে করনীয় বিষয়গুলোও নিন।
সাধারণত, আপনার আবেদনের (আবেনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম) তথ্য অন্যকারো জন্ম নিবন্ধন তথ্যের সাথে হুবহু মিলে গেলে “পসিবল ডুপ্লিকেট” হিসেবে চিহ্নিত হবে। তবে এছাড়া আরও দুইটি তথ্য মিলে গেলেও এরকম মেসেজ দেখতে পাবেন তা হলো জন্ম তারিখ ও নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম।
তবে যদি জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮-১০ বছর বা তার বেশি হয় অথবা স্থায়ী ঠিকানা ব্যতিক্রম হয় তাহলে “পসিবল ডুপ্লিকেট” চিহ্নিত হবার সম্ভাবনা থাকেনা। তাই যদি এই সমস্যা দেখেন তাহলে আপনার ভালো ভাবে যাচাই করা উচিৎ যে আপনি উক্ত ব্যাক্তির জন্ম নিবন্ধন আবেদন আগে কখোনো করেছেন কি না।
যদি আগে কখোনো একই ব্যাক্তির জন্ম নিবন্ধন আবেদন না করে থাকেন তাহলে আপনার চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই ক্ষেত্রে বিষয়টি অথরাইজড ইউজার বা ক্ষেত্র বিশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) তদন্ত করবে এবং সমাধান করবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ভুল হলে বাতিল করার নিয়ম
যেকোনো আবেদন ফরম পূরনের সময় তথ্য যাচাই করা উচিৎ। তবে মানুষ মাত্রই ভুল আর জন্ম নিবন্ধন আবেদনের সময়ও ভুল হতেই পারে। আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনে ভুল হয়েছে এবং আপনি আবেদনটি বাতিল করতে চাচ্ছেন? এই ক্ষেত্রে উক্ত আবেদনটি অনলাইনে বাতিল করার কোনো সুযোগ নেই। অনলাইনে আবেদন সাবমিট করার পরে যদি আপনি একটি ইউজার একাউন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে লগ-ইন করে তথ্য আপডেট করার চেষ্টা করবেন। অন্যথায়, যখন আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নির্দিষ্ট অফিসে জমা দিবেন তখন ভুলের বিষয়টি কতৃপক্ষকে অবগত করুন। যদি সম্ভব হয় তাহলে তারা আপনার ভুলগুলো সংশোধন করে দিবে।
আর যদি তাদের দ্বারা সেই ভুল সংশোধন করা সম্ভব না হয় তাহলে আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে আপনি যেই জন্ম সনদ পাবেন সেটির সংশোধন আবেদন করতে হবে অনলাইনে। এই ক্ষেত্রে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই ও বর্তমান অবস্থা
আপনি কি ইতিমধ্যে নিকটতম রেজিস্ট্রার অফিসে জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন? যদি আপনার উত্তর হ্যা হয়, তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনের অবস্থা যাচাই করে বর্তমান অগ্রগতি জানতে পারবেন।
যদিও অফিস থেকে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদটি পাবার একটি সম্ভাব্য তারিখ জানানো হবে। তারপরও আপনি চাইলে আপনার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করে লগইন করে জন্ম নিবন্ধন আবেদন বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারবেন। একাউন্ট তৈরির বিষয় নিয়ে ওপরে আলোচনা করা হয়েছে।
উপসংহার
সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর বা সনদ না থাকা যেকোনো বয়সের মানুষদের প্রমাণ সাপেক্ষ কাগজপত্র সংযুক্ত করে https://everify.bdris.gov.bd তে অনলাইনে আবেদন জমাদানের মাধ্যমে সহজেই জন্ম নিবন্ধন করা যায়। জন্ম নিবন্ধন আবেদন এর প্রতিটি ধাপের কোথায় কিভাবে ফরম পূরণ করতে হবে তা আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সুতরাং, জন্ম নিবন্ধন নতুন আবেদন, কি কি কাগজপত্র লাগবে, কত টাকা লাগবে, আবেদন করার নিয়ম, ইউজার একাউন্ট তৈরি, আবেদন প্রিন্ট, ফরম ডাউনলোড, আবেদন পরবর্তী অবস্থা যাচাই, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই আশা করছি যে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনটি সঠিক ভাবে করতে সক্ষম হয়েছে। এরপরেও যদি কোনো সমস্যা বা প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
পিতা মাতার শুধু অনলাইন জন্ম নিবন্ধ এবং শুধু মেডিকেল ছাড়পত্র দিয়ে কি জন্ম নিবন্ধ করা যাবে?? বাচ্চার বয়স ২০ দিন, টিকা কার্ড নেই।
টিকা কার্ড না থাকলে সংগ্রহ করুন। না পারলে ডক্টর বা স্বাস্থকর্মীর থেকে প্রত্যয়ন নিতে হবে।
জন্মনিবন্ধন করবো
My mom stays in Malaysia. She wants to make amendment on her birth certificate name and make it exactly same like her passport.
Just Ahmed will change to Zaman. May I know what is the procedure and how long it take to get the document? Also, what is the fee?
https://bdris.gov.bd/br/correction here you can apply for changing Birth Certificate information…